খুব কম খাবারই আছে, যেগুলো রান্না করতে তেল লাগে না। তেল যেন রান্নার অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাস্থ্যের ওপরও আছে তেলের প্রভাব।
তবে আপনি যদি হৃদরোগে ভোগেন বা আপনার হার্টের একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়, তাহলে খাবারের বিষয়ে আপনাকে বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে তেলের বিষয়েও চাই সচেতনতা। কিছু তেল আছে, যেগুলো বিশেষভাবে আপনার হার্টের জন্য উপকারী।
বাজারে পাওয়া যায় এমন তেলের ভেতর সাত ধরনের তেল রয়েছে, যা হার্টের জন্য উপকারী। চলুন, জানা যাক ওই তেলগুলো সম্পর্কে.
১. চিনাবাদামের তেল বা পিনাট অয়েল
হার্টের জন্য সবচেয়ে উপকারী তেলগুলোর একটি চিনাবাদামের তেল বা পিনাট অয়েল। এই তেলে থাকে ভিটামিন-ই এবং উচ্চ পরিমাণে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। ভিটামিন-ই হার্টের জন্য খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। যথাযথ মাত্রার ওমেগা-৬ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়ার জন্য অলিভ অয়েলের সঙ্গে চিনাবাদামের তেল মিশিয়ে খেতে বলা হয়।
২. অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল সবচেয়ে জনপ্রিয় স্বাস্থ্যকর রান্নার তেলগুলোর একটি। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল। উদ্ভিদজাত এই উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তা ছাড়া এতে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। এতেও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। সেই সঙ্গে এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের জন্য ভালো এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩. সূর্যমুখীর তেল
সূর্যমুখীর তেল হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিন-এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হার্টের জন্য ভালো।
৪. সরিষার তেল
সরিষার তেল শুধু হার্ট নয়; ত্বক, হাড়ের জোড়া এবং শরীরের অন্যান্য অংশেরও উপকার করে। বিভিন্ন দেশের খাবারে এই তেলের ব্যবহার রয়েছে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ওমেগা-৬ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ধারণা করা হয়, সরিষার তেল হজমের ক্ষমতা ও ক্ষুধা বাড়ায়।
৫. রাইস ব্র্যান অয়েল
হার্টের জন্য সবচেয়ে ভালো আরেকটি তেল হলো রাইস ব্র্যান। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, এই তেলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থেকে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের চমৎকার ভারসাম্য আছে। সালাদ, কুকিজ ও কেক বানাতে এটি প্রায়ই ব্যবহার করা হয়।
৬. সয়াবিন তেল
সয়াবিন তেলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড আছে, যা শরীরের জন্য সামগ্রিকভাবে উপকারী। এই তেল শরীরে কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয় এবং হার্ট অ্যাটাকসহ হার্টের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।
৭. কুসুম ফুল তেল
এই তেল শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এর উপাদানগুলো ধমনি শক্ত হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।