একটা হতাশার মৌসুম কাটিয়ে মুম্বাইয়ের নতুন শুরুও হয়েছিলও হতাশায়ই। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন তারা। প্রতি বারই অধিনায়ক ছিলেন রোহিত শর্মাই। গত মৌসুমে রোহিত ব্যাট হাতে ব্যর্থ, সাফল্য পায়নি দলও। এবার প্রথম দু-ম্যাচে ব্যাঙ্গালোর এবং চেন্নাইয়ের কাছে হার। আইপিএলে ২৫ ইনিংস পর অর্ধশতরান রোহিত শর্মার। মৌসুমেরর প্রথম জয়ও পেল মুম্বাই। টানা চার হার দিল্লি ক্য়াপিটালসের।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ঘরের মাঠে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি ক্যাপিটালস ১৭২ রানে আল আউট। পুরো ২০ ওভার তারা খেলতে পারল না। ২ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় দিল্লি। বিপরীতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
প্রথমে ব্যাটে নেমে দিল্লি নির্দিষ্ট ব্যবধানে উইকেট হারিয়েছে। যার জেরে তারা পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি। সাতে ব্যাট করতে নেমে অক্ষর প্যাটেলের ২৫ বলে ৫৪ রান। এ ছাড়া ওপেন করতে নেমে ৪৭ বলে ৫১ করেছিলেন ওয়ার্নার। মণিশ পাণ্ডে ১৮ বলে ২৬ করেন। ১০ বলে ১৫ করেন পৃথ্বী শ’। এর বাইরে বাকিরা দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাননি। ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় দিল্লি। মুম্বাইয়ের হয়ে বেহরেনডর্ফ এবং পিযূষ চাওলা ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ২টি উইকেট নিয়েছেন মেরিডিথ। এক উইকেট নেন শোকিন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার। রোহিতের পাশাপাশি ভাল খেলছিলেন ঈশান কিশনও। ইশান ২৬ বলে ৩১ করে আউট হলেও রোহিত দলের হাল ধরে থাকেন। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন তিলক বর্মা। তবে তিলক আউট হন ২৯ বলে ৪১ করে। এর পর সূর্যকুমার যাদবও গোল্ডেন ডাক করে সাজঘরে ফেরেন সূর্যকুমার যাদব। পরের ওভারেই রোহিত আউট হন ৪৫ বলে ৬৫ করে। এর পর রোমহর্ষক পরিস্থিতি তৈরি হয়।
শেষ ১২ বলে মুম্বাইয়ের দরকার ছিল ২০ রান। মুস্তাফিজুরের এক ওভারে ১৫ রান নিলেন টিম ডেভিড ও ক্যামেরন গ্রিন। শেষ ৬ বলে ৫ রান দরকার ছিল। দ্বিতীয় বলে ডেভিডের ক্যাচ ফস্কান মুকেশ। পরের বল ডেভিডের প্যাডে লাগায় ওয়াইড হয়নি। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। দৌড়ে সেই রান তুলে নেন মুম্বাইয়ের দুই ব্যাটার। ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে মুম্বাই। দিল্লির হয়ে মুকেশ কুমার নিয়েছেন ২ উইকেট।
এদিকে, বাংলাদেশ থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে মোস্তাফিজকে নিয়ে গেলেও প্রথম তিন ম্যাচে খেলায়নি দিল্লি। চতুর্থ ম্যাচে খেলতে নেমে দলের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ বাঁহাতি এই পেসার। এদিন বোলিংয়ে ৪ ওভারে দেন ৩৮ রান।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই