অতিরিক্ত তাপমাত্রায় যশোর শহরের ধর্মতলা ও পালবাড়ি খয়েরতলা মহাসড়কের বিটুমিন গলে যাচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘শুনেছি রাস্তার বিটুমিন গলে যাচ্ছে। অফিস থেকে লোক পাঠিয়েছি সংশ্লিষ্ট এলাকায়। তিনি ফিরে আসার পর বিস্তারিত বলতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব রাস্তার বিটুমিন গলে যাচ্ছে, সেগুলো পাঁচ-সাত বছর আগের তৈরি। সড়কে সাধারণত দুই গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। আগে, ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রি তাপমাত্রার জন্য ৮০/১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হতো। পরে গবেষণা করে বেশি তাপমাত্রা সহনশীল ৬০/৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে।’
যশোর বিমানবন্দর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটি সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানা যায়, শনিবার যশোরে সর্বোচ্চ ৪০. ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ২৪ শতাংশ। এর আগের, দিন যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪০. ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা জানান, সকালে একটু বাড়ির বাইরে বের হওয়া গেলেও বেলা বাড়লে সেটা আর সম্ভব হয় না। মনে হয় যেন, আকাশ থেকে আগুন ঝরছে। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন না।
যশোর কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক মহসিন আলী বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শানতলা থেকে পালবাড়ি হয়ে শহরে ঢুকেছি। সূর্যের তেজ যেমন, রাস্তা থেকেও একই রকম ঝাঁজালো তেজ চোখেমুখে লাগছে। মনে হচ্ছে গরম হাড়ি থেকে বাষ্প বের হয়ে চোখ-মুখ পুড়িয়ে দিচ্ছে।’
যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক রাসেল বলেন, অতিরিক্ত গরমে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বাড়ি থেকে বের না হওয়া ভালো। সেই সঙ্গে তিনি অতিরিক্ত গরম থেকে নিজেদের রক্ষায় স্যালাইন, ডাবের পানি, লেবু ও পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।